মহররমের তাৎপর্য পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি। আমার প্রিয় শ্রোতা বন্ধুদের জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের আমাদের ইসলাম ধর্মের ঐতিহ্য মহরম সম্পর্কে বলবো। আমরা সবাই জানি মহরম হচ্ছে আরবি বারো মাসের মধ্যে প্রথম মাস।
আমাদের প্রিয় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় চন্দ্র মাসের সূচনা অনুযায়ী সেদিন ছিল চন্দ্র মাসের প্রথম মাস এবং নবী করিম সাঃ এর হিজরতের দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য এর নাম হয় মহরম। পুরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে 160 কোটি মুসলমানদের ধর্ম ইবাদত-বন্দেগী ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান ও আবেগ-অনুভূতি জড়িত।
আরবি হিজরী সন অনুযায়ী ইসলামের একটি মৌলিক ইতিহাস ও গৌরবের দিক আছে যার অবদান মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার জন্য পৃথিবীর সব স্থানে বিরাজমান করে। আমাদের নবী করিম সাঃ 622 খ্রিস্টাব্দে রবিউল আউয়াল মাসে মক্কা থেকে মদিনার পথে হিজরত করেন । হিজরত করলে অন্যান্য সাহাবা একরাম এর হিজরতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যে চাঁদ উদিত হয়েছিল সেই মাসছিল মহরম মাস। এভাবেই হিজরি সনের প্রথম মাস মহরম মাস হয়।
পৃথিবীর সৃষ্টির শুরু থেকেই চন্দ্র মাসের কথা বর্ণনা আছে। আসমান ও জমিন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি থেকেই আল্লাহতায়ালার একটি নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে রেখেছেন যা বারোটি মাসে বিভক্ত করেছে।
আরবি তথা হিজরি সনের প্রথম মাসে মহরম। মহরম শব্দের আভিধানিক অর্থ অলঙ্ঘনীয় পবিত্র। ইসলামী শরীয়তে মহরম মাসকে অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ ও সম্মানিত মাস বলা হয় এই মাসের হযরত অনেক অনেক বেশি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বিদায় হজ্ব এ বর্ণনা করেছেন হিজরী সন অনুযায়ী 12 মাসের মধ্যে চারটি মাস অত্যন্ত সম্মানীয়। এর ধারাবাহিকতায় জিলকদ জিলহাজ ও মহরম এবং রজব মাস(বুখারী)।
মহররম মাসের ফজিলত
সৃষ্টির শুরু থেকেই যুগে যুগে সকল নবী রাসূলগণ ও মানুষ এই মাস গুলোকে মেনে চলেছে। এই মাসগুলো অত্যন্ত পবিত্র ও সম্মানিত মাস বলে এই মাসের ইবাদত-বন্দেগি অনেক বেশি আবার পাপাচারে অনেক গুনাহ হয়। অনেক শরীয়ত ও হাদীসে বর্ণিত করেছেন এই মাস গুলতে অনেক নবী-রাসূলগণ তাদের ঈমানের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং সফলতা শহীদ উত্তীর্ণ হয়েছেন। কারবালা বদরের যুদ্ধ এবং আরো এই মাসের সঙ্গে সংযুক্ত আছে।
আশুরার 10 তারিখ ও পুরা মহরম মাস এর সঙ্গে সম্পর্কিত। উড়বে আশুরায় রোজা ফরজ ছিল পরবর্তীতে রমজান মাসে রোজা ফরজ করেছেন। পূর্বে অনেক জাতি আশুরার রোজা রাখত নবী করিম সাঃ মদীনায় হিজরতের সময় লক্ষ্য করছিলেন ঈহুদীগণ আশুরা রোজা রাখত তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চাইতেন তারা কেন এই দিনে রোজা রাখছে শুনে তাদের মধ্যে একজন বলছেন এই দিনে মূসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তায়ালা নাজাত দিয়েছিলেন । ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে ডুবিয়ে মারছিলেন এই দিনে তাই আশুরার এই দশ তারিখে রোজা রাখা হয় ।
পরবর্তীতে আল্লাহ তা’আলার প্রিয় রাসূল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সবার উদ্দেশে বলেন তোমরা চাইলেই আশুরার রোজা রাখতে পারো তবে তোমরা আশুরার পরের দিনে একটি রোজা রাখিও না হলে তোমরা ইহুদিদের নিয়ম চলে যাবে। তোমরা যদি পালন করতে না পারো তবুও কোন সমস্যা নেই। আল্লাহ তায়ালা এই মাসে রোজা রাখলে এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তাই আমাদের সকল মুসলমানের উচিত আমরা আল্লাহ তায়ালা সমস্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করব আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবো এবং তৌফিক দান করার জন্য প্রার্থনা করব যাতে উনি আমাদের জানা অজানা পাপ ক্ষমা করে দিয়ে ভালো হওয়ার তৌফিক দান করে আমীন।